নিজস্ব প্রতিবেদক:
মোবাইলকোর্টে অহেতুক জরিমানার অভিযোগে আহুত কক্সবাজার শহরে এলপি গ্যাস সরবরাহকারীদের অনির্দিষ্টকালের ঘর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে জেলা প্রশাসনের সাথে গ্যাস সরবরাহকারীদের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বৈঠকে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনর্থক হয়রানী করা হবেনা বলে অাশ্বস্থ করা হয়। সেইসাথে ইতোমধ্যে পরিচালিত মোবাইলকোর্টের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে বলে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়।দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা বৈঠকে  জেলা প্রশাসনের পক্ষে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রাজস্ব) কাজী মো. আবদুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ।
ব্যবসায়ীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার এলপি গ্যাস পরিবেশক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল শাহেদ চৌধুরী।
এছাড়া সমিতির অর্থ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর চৌধুরী, মুহাম্মদ আলী চৌধুরী, গোলাম আরিফ লিটন, সরওয়ার কামালসহ অন্তত ১৩০ জন গ্যাস সরবরাহকারী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এলপি গ্যাস পরিবেশক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজুল হক জানান, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ। ওই দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকলে চরম জনভোগান্তি হতে পারে। বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।
তাছাড়া মোবাইলকোর্টে অহেতুক জরিমানার বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাসে আপাততঃ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
১২ এপ্রিল খুরুশকুল সড়কের মাম্মি এন্টাপ্রাইজকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের মোবাইলকোর্ট।
এর আগের দিন (১১ এপ্রিল) ৪০টির অধিক গ্যাস সিলিন্ডার রাখার অভিযোগে রূপসা ট্রেডিংকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরপর দুইদিনের অভিযানে শহরের গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। সেই ক্ষোভে ১২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয় গ্যাস সরবরাহকারীরা। এরপর থেকে শহরের কোথাও গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান খোলা পাওয়া যায়নি। অনেক গ্রাহক গ্যাস না পেয়ে ফেরত যেতে দেখা গেছে। গ্যাসের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হয় পৌরবাসী। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে ব্যবসায়ীদের ডেকে বৈঠক করে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারী গ্যাস সিলিন্ডারে যদি মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা না থাকে, তাদের করার কি আছে? প্রশাসনের এমন অভিযান বন্ধ করতে দাবী তুলে গ্যস সরবরাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রশাসন তাদের দাবী মেনে নেয়ায় কঠোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।